মনি ইসলাম: লেগুনা গাড়িতে গাড়ির মালিকরা ঝুকিতে যাত্রী পরিবহন করছে। তাতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।শুধু তাই নয় যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে চালকরা। যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। যেখানে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে কোনো গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না সেখানে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না হওয়া পর্যন্ত স্ট্যান্ড ছাড়ে না লেগুনা চালকরা। নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে নিয়মের বাহিরে চলে গেছে লেগুনা পরিবহন। লেগুনা গাড়িতে যাত্রী নেওয়ার কথা ১১ জন সেখানে যাত্রী নেওয়া হয় ১৪ জন চালক সহ ১৫ জন।
গতকাল (৭ জুলাই ) রবিবার বিকেলে সাড়ে ৪টায় চাষাঢ়ায় সরেজমিনে দেখা যায়, সবকটি লেগুনা গাড়িতে যাত্রী নেওয়া হয় ১৪ জন ।গায়ের সাথে গা ঘেষে বসতে হচ্ছে গাড়িতে। আর তাতে বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হয় মহিলারা। একটু স্বাস্থ্যবান ২/৩ জন যাত্রী থাকে তালে কষ্টের শেষ থাকে না। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তিচায় সাধারণ যাত্রীরা।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী যাত্রী লাকি বলেন,লেগুনা গুলোতে আমরা নারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। আমি চাইব প্রশাসন চাষাঢ়ায় লেগুনাগুলোর প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করবে।
অন্য আরেকজন যাত্রী সাদিয়া বলে,লেগুনা অনেক সময় দুষ্টু চরিত্রের লোক উঠে চাপাচাপি ভাবে বসার কারনে বিভিন্ন সময় খারাপ আচরন করার সুযোগ নিয়ে থাকে। আর যদি বলি একটু চেপে বসেন তাহলে বলেন আর কোথায় চাপবো দেখন জায়গা কোথায়।
লেগুনা গাড়ি চালক রিপন বলেন, আমাদের এখানে যত গাড়ি আছে সব গাড়িতে চালকসহ ১৫ জন নেওয়া হয়।এমনকি আমিও ১৫ জন যাত্রী নিয়েছি । রিপনের গাড়ির নাম্বার১১২২৩।
চাষাঢ়া লাইন ম্যান শাকিল বলেন ,নারায়ণঞ্জে লেগুনা গাড়ি যখন থেকে আসছে ঠিক তখন থেকেই ১৪ জন যাত্রী নিচ্ছে । এটার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না তা আমি জানি না।
নাম বলতে অনইচ্ছুক ব্যক্তি জানান ,এখানে যারা লেগুনা গাড়ি চালায় তাদের মধ্যে বেশির ভাগই চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং দেখা যায় তাদের ড্রাইভিং লাইন্সেস পর্যন্ত নেই । ফলে তারা বিভিন্ন সময় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছে ।
বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি রওশন বলেন, লেগুনা গাড়ি গুলোতে কখনোই অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হয় না।
নারায়ণগঞ্জ সার্কেল বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) সৈয়দ আইনুল হুদা বলেন ,লেগুনা যে গাড়িগুলো আছে সে সব গাড়িতে গাড়ি চালকসহ সর্বোচ্চ ১৪ জন যেতে পারে তবে সব লেগুণা গাড়িতে ১৪জন নেওয়ার লাইন্সেস নেই । কিছু কিছু গাড়িতে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তবে সব গাড়িতে নয়। আর বেশির ভাগ গাড়িগুলো সামনে বসতে পারবে ১জন পেছনে বসতে পারবে ১০ জন ও সামনে গাড়ি চালকসহ ২ জন অথাৎ মোট চালকসহ যাত্রী নেওয়া যাবে ১২ জন।
তিনি আরো বলেন, আমি জানি না যে নারায়ণগঞ্জে সব গাড়িতে চালক সহ ১৫ জন যাত্রী নেওয়া হয় । যদি এরূপ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় আমরা তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব । আমি গাড়ির মালিকদের ডেকে বলব । প্রয়োজনে আমি ম্যাজিস্ট্রেটকে বলব মোবাইল কোর্ট করার জন্য।
এ বিষয়ে জানার জন্য মুঠো ফোন করা হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যুথিকা সরকার এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকে । তারা দু’জন কল রিফিভ করেনি।